গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক্-স্বাধীনতা নাগরিকদের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার এর অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারী বা বিদেশী অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বিভিন্ন সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিতকরণের জন্য প্রণীত তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ বাংলাদেশের অবাধ তথ্য প্রবাহ এবং নাগরিকদের তথ্যে প্রবেশাধিকার বিষয়ে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪ ধারার বিধানমতে সকল কর্তৃপক্ষের নিকট হতে প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ নাগরিককে তথ্য প্রদানে বাধ্য। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এবং তথ্য অধিকার (তথ্য প্রকাশ ও প্রচার) প্রবিধানমালা ২০১০ অনুসারে সকল দপ্তর কর্তৃক স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের মূল-শ্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, স্বাবলম্বিতা অর্জন, দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর, সামাজিক-রাজনৈতিক-আইনগত সকল অধিকার সুরক্ষার তাদের সচেতন করে তোলায় বাংলাদেশ বেতার নেপথ্যে বিশাল ভূমিকা পালন করছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি সর্ববৃহৎ গণমাধ্যম হিসাবে দেশের শিল্প-সাহিত্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ইত্যাদির সাথে জড়িত অসংখ্য জনগোষ্ঠীর সাথে বাংলাদেশ বেতারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া শ্রোতা হিসেবে রয়েছে আপামর জনগোষ্ঠী। ফলে বেতারের সকল কার্যক্রম, সেবা প্রদান পদ্ধতি, প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামো, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রণালী, ক্ষমতা, প্রতিষ্ঠানের আর্থিক তথ্যাবলী ইত্যাদিসহ এর যাবতীয় তথ্যাবলী জানার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করণার্থে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ৬ ধারার বিধান মতে বাংলাদেশ বেতার স্ব-উদ্যোগে নিম্নবর্ণিত তথ্য প্রকাশ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS